শরীয়তপুর টাইমস্ ডেস্ক:
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে ঢাকার একটি কলেজে কর্মরত মাসুম বিল্লাহ নামে এক শিক্ষকের বাড়িতে হানিফ মাহমুদ নামে এক বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১০ আগস্ট) ভেদরগঞ্জ উপজেলার মহিষার ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাজানপুর গ্রামে শিক্ষক মাসুম বিল্লাহ ঢালীর বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক মাসুম ঢালীর পরিবারের সঙ্গে শরীয়তপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হানিফ মাহমুদের জমিসংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে শনিবার দুপুরে শিক্ষক মাসুম বিল্লার বাড়িতে এ হামলা চালানো হয়। এ সময় হামলাকারীরা বাড়ির সীমানাপ্রচীর ভেঙে ফেলে এবং বসতবাড়িসহ বিল্ডিংয়ের জানালার কাচ ভাঙচুর করে ওই শিক্ষকের বৃদ্ধা মাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। পরে তিনি অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নেন।
শিক্ষক মাসুম বিল্লার মা নাজমা মনোয়ার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমি এই বাড়ীতে বসবাস করে আসছি। অনেক দিন ধরে জমিসংক্রান্ত জেরে আমাদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে যাচ্ছেন হানিফ মাহমুদ। একাধিকবার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি সমাধান করেছেন। গতকাল দুপুরে তিনি ও তার ছেলেসহ কয়েকজনকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা চালান। আমি আজ দুদিন ধরে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে আছি। আমি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হানিফ মাহমুদ ও তার ছেলেদের বিচার চাই।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা হানিফ মাহমুদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, "আমার জমিতে তারা ঘর উঠিয়েছে। এই জমি আমার। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে আমি কিছু করতে পারিনি।"
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান কিরন বলেন, "শুনেছি এমন কিছু ব্যক্তি বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির স্লোগান তুলে হামলার পরিকল্পনা করছে। সাবধান করে দিতে চাই, যেখানে ছিলেন, সেখানে থাকেন। কোনো অন্যায়কে আমরা প্রশ্রয় দেব না। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে আমাদের কোনো সহযোগিতা পাবে না।"
এ বিষয়ে শরীয়তপুর পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম বলেন, 'কোনো ব্যক্তির ঘরবাড়ি ভাংচুর ও দখল করার সুযোগ নেই। এঘটনায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।'