উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সকল কর্মকর্তাগণ এই অনুষ্ঠানে সরাসরি ও ভার্চুয়ালি অংশ গ্রহণ করেন।
দুপুর দেড়টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বক্তব্য ও আলোচনায় তিনি বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত গুজবসমূহকে না শোনার ও এড়িয়ে যাবার বিষয়ে সবাইকে উপদেশ দেন।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সেনাপ্রধান বলেন, আপনারা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট দ্বারা পক্ষপাতদুষ্ট হবেন না এবং অন্ধভাবে বিশ্বাস করবেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনারা যা দেখছেন তা সত্য নাও হতে পারে। গুজব এড়িয়ে চলুন। দেশে এখন একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে, যা স্বাভাবিক করার দায়িত্বে সেনাবাহিনীকে সারাদেশে নিয়োজিত করা হয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ভাঙচুরের হাত থেকে রক্ষা করার দায়িত্বও সেনাবাহিনীর বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি জানান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের কর্তৃক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কিছু সতর্কীকরণ ফায়ার করা হলেও তাতে কোনো নিহতের ঘটনা ঘটেনি। শুধু ৫ জন বেসামরিক ব্যক্তির আহতের খবর পাওয়া গেছে।
নির্বাহী আদেশ ছাড়া যেকোনো উসকানির মুখেও ছাত্র ও সাধারণ জনগণের দিকে গুলি না ছুড়তে সকল সেনাসদস্যদের নির্দেশ প্রদান করেন সেনাপ্রধান। এছাড়া ডেপুটেশনে থাকা সামরিক কর্মকর্তাদের সর্বতোভাবে সহযোগিতা প্রদান করার আহ্বানও জানান।
সাম্প্রতিক অতীতে পুলিশ সদস্যদের গুলিতে কিছু সংখ্যক অনাকাঙ্ক্ষিত হতাহতের কথাও উল্লেখ করেন তিনি। পরিশেষে সবাইকে উদ্দেশ করে বলেন যে, আপনাদের কারো মনে কোনো প্রশ্ন জন্ম নিলে সরাসরি আমাকে জিজ্ঞেস করবেন এবং কখনোই গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না।