ক্রীড়া অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের প্রথম অর্ধেক ভালই ছিলো। ২৬ ওভার শেষে দলের সংগ্রহ ১২০ রান ২ উইকেট। জয়ের জন্য তখন দরকার আর ১১৭ রান। হাতে ৮ উইকেট।
সেখান থেকেই গোলকধাঁধার শুরু। কারিগর আফগান স্পিনার আল্লাহ গজনফর। বাংলাদেশের শেষ ৭ উইকেটের ৫টি একাই তুলে নিয়ে ধসিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটিং।
আল্লাহ গজনফর ৬.৩ ওভার বল করে ২৬ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট।বাংলাদেশের হার ৯২ রানের।
অনেকে বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না। বিশেষত যারা ১২০ রানে দুই উইকেটের পর আর খেলা দেখেননি।
মোহাম্মদ নবীর বলে সুইপ করতে গিয়ে হাশমতউল্লাহ শহীদির হাতে ধরা পড়েন নাজমুল হোসেন শান্ত। হেলেদুলে শরীরি কারিশমায় তিনবারের চেষ্টায় ক্যাচটি নেন তিনি। নাজমুল হাফ সেঞ্চুরি থেকে মাত্র তিন রান আগে আউট হয়ে যান। ৬৮ বলের সাজানো তার ইনিংসটি আর বড় করতে পারেননি।
নাজমুলের আউটের পর অদ্ভূতুরে ব্যাটিংয়ে সবাইকে অবাক করে বাংলাদেশ। শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন বাংলাদেশি দর্শক সংখ্যায় ছিলো বেশি। তারা বিশ্বাস করতে পারছিলোনা কি ঘটছে।
গজনফর এদিন নিজের ক্যারিয়ারে প্রথম ৬ উইকেট নেয়ার গৌরব অর্জন করেন।এক ওভারে মুশফিকুর রহিম, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদের তিন উইকেট শিকার করেন। হ্যাট্ট্রিক হয়নি। তবে বাংলাদেশিদের আতঙ্ক বাড়িয়ে তুলেন। বলা চলে এই আফগান সেনসেশনের কাছেই মূলত হেরে গেছে বাংলাদেশ।
কিছুদিন আগে শারজাহতে দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে সিরিজ জয়ী আফগানরা এমনিতেই ছিলো ফুরফুরে মেজাজে। প্রবল আত্মবিশ্বাসে টগবগ করতে থাকা আফগানরা আজ বুঝিয়েছে কেন তারা ভাল দল। ক্রিকেট বিশ্বের উঠতি দেশগুলোর মধ্যে সেরার তকমা পেয়েছে।
আর বাংলাদেশ ব্যাটাররা আবারো প্রমান করলেন তাদের সার্মথ্য। অথচ বর্তমান ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ তৃতীয় সেরা দামী ক্রিকেট কোচ প্যানেল ব্যবহার করে থাকে।
বাংলাদেশের বোলিং ইউনিট তাদের কাজটা করেছিলো। মোস্তাফিজুর রহমান এবং তাসকিন আহমেদের চার উইকেট করে শিকার করেন। ৫০ ওভারের ম্যাচে একসাথে দুই বাংলাদেশি বোলারের এই অর্জন এই প্রথম। তবে বরাবরের মত ব্যাটিং আবারও ডুবালো টিম টাইগারদের।