আহত আ.লীগ নেতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছবি: বিধান মজুমদার |
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় আবু সাঈদ মাঝি(৬৫) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির সমর্থকদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার(১২ নভেম্বর) রাতে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই নেতা। এর আগে সোমবার রাতে নড়িয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহত আবু সাঈদ মাঝি নড়িয়া পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। তিনি বর্তমানে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয়, ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নড়িয়া পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু সাঈদ মাঝি সোমবার রাতে নড়িয়া বাজারের একটি চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন। এসময় স্থানীয় বিএনপির সমর্থক মোকলেস চৌকিদারের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন যুবক লোহার পাইপ ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী আওয়ামী লীগ নেতার। পরবর্তীতে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথম নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসেন। এ ঘটনায় দোষীদের বিচারের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ও তার স্বজনরা।
ভুক্তভোগী আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ মাঝি অভিযোগ করে বলেন, আমি চা খাওয়ার সময় ২০ থেকে ২৫ জন যুবক দোকানে ঢুকে 'ও আওয়ামী লীগ করে, ওকে মার' এই কথা বলে লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। স্থানীয় বিএনপির সমর্থক মোকলেস চৌকিদার এই হামলার নেপথ্যে ছিলেন বলে জানতে পারি। আমি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
আবু সাঈদ মাঝির স্ত্রী মমতাজ সাঈদ বলেন, আমার স্বামী রাজনীতি করে কিন্তু কখনো কারো ক্ষতি করেনি। তিনি আওয়ামী লীগ করেন এটাই কি তার দোষ? আমার স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলাটি চালানো হয়েছে। যাতে তারা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে পারে। আমরা অপরাধীদের বিচার চাই।
দোষীদের বিচার দাবী করে আবু সাঈদ মাঝির মেয়ে নিতু মাঝি বলেন, আমার বাবার ওপেন হার্ট সার্জারি অপারেশন হয়েছে। হামলাকারীরা আমার বাবাকে মেরে রক্তাক্ত করেছে। তিনি আওয়ামী লীগ করতেন বলেই বিএনপির লোকেরা এই হামলা চালিয়েছে। আমরা দোষীদের কঠোর বিচার চাই।
তবে অভিযোগের ব্যাপারে অস্বীকার করেছেন বিএনপির সমর্থক ও পৌর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দাবী করা মোকলেস চৌকিদার। তিনি বলেন, আমি তার উপর কোনো হামলা চালাইনি বা নেতৃত্ব দেইনি। কে বা কারা মেরেছে তাও জানিনা। উনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
এ বিষয়ে নড়িয়া উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান সাগর বলেন, আমাদের দল থেকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া আছে কোনভাবেই কারো উপর অন্যায় অত্যাচার করা যাবে না। আমরা বিষয়টি তদন্ত করবো। হামলাকারীরা যদি আমাদের দলের কেউ হয় তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানতে চাইলে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আসলাম উদ্দিন মোল্লা বলেন, মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।