নিজস্ব প্রতিবেদক:
শরীয়তপুরের ডামুড্যা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজিত কর্মকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে অপসারণের দাবী জানিয়েছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
বৃহস্পতিবার(৫ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার ডামুড্যা বাজার এলাকায় বিদ্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনের মাধ্যমে এ দাবী জানায় তারা।
মানববন্ধনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানায়, ডামুড্যা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজিত কর্মকার যোগদানের পর থেকেই বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় স্কুলের ছাত্রীদের যৌন হেনস্তার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও তিনি ৩ মাস ধরে স্কুলের শিক্ষকদের বেতন আটকে রেখেছেন। অতি দ্রুত তার অপসারণ করে বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবী জানিয়েছেন তারা।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী অভিভাবক মো: হাবিব তালুকদার বলেন, ডামুড্যা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুজিত কর্মকার যোগদানের পর থেকেই বিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় স্কুলের ছাত্রীদের যৌন হেনস্তা, সাংবাদিক ও জেলা প্রশাসককে হুমকির অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও তিনি ৩ মাস ধরে স্কুলের শিক্ষকদের বেতন আটকে রেখেছেন। অতি দ্রুত তার অপসারণ করে বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে।
বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী আনিসা মাহবুব বলেন, আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুজিত কর্মকার বিভিন্ন সময়ে ছাত্রীদের মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে বিরক্ত করতো, সামান্য কিছু হলেই অভিভাবকদের ডেকে এনে অশালীন কথা বলতো। তাছাড়া ইদানীং তিনি আইসিটির জন্য বরাদ্দকৃত টাকা হস্তগত করেন। এমন প্রধান শিক্ষক থাকলে আমাদের বিদ্যালয়ের বারোটা বেজে যাবে। তাই অতি দ্রুত আমরা তার অপসারণ চাই।
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো: জামাল হোসেন বলেন, প্রধান শিক্ষক সুজিত কর্মকার গত কয়েক মাস ধরে স্কুলে আসেনা। তার নিকট বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফান্ডের টাকা রয়েছে তার কোন হিসেবে দিচ্ছে না। তার কারনে বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকদের বেতন বন্ধ হয়ে আছে। বর্তমানে সকল স্কুলের শিক্ষকদের সরকারি বেতনের জন্য ইএফটির কাজ চলমান আছে। তার কারনে আমাদের ইএফটির কাজ হুমকির মুখে পড়েছে। আমরা অতিদ্রুত এ সমস্যার সমাধান চাই।