বিজ্ঞাপণের জন্য যোগাযোগ করুন- 01966555312

ধর্ষকের হুমকিতে স্বাক্ষী দিচ্ছেনা প্রত্যক্ষদর্শীরা, বিপাকে ধর্ষিতা নারী

নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রেমের অভিনয় করে শারীরিক সম্পর্ক করতে গিয়ে গ্রামের জনতার কাছে আটক হোন আহমদ উল্লাহ। আটকের পর স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল আহমদ উল্লাহকে ঘটনাস্থলকে থেকে নিয়ে যায়। এঘটনায় মামলা হলেও ধর্ষক আহমদ উল্লাহর প্রভাবে সাক্ষী হিসেবে মুখ খুলতে চান না প্রতক্ষদর্শিরা। এতে বিপাকে পড়েছেন ধর্ষিতা ওই নারী।

সম্প্রতি শরীয়তপুরের সখিপুর থানার উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের সরকার কান্দি গ্রামের সাইফুল সরকারের ছেলে আহমদ উল্লাহর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন ভূক্তভোগী।

থানায় দায়েরকৃত এজাহার, এলাকাবাসী ও ভূক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আহমদ উল্লাহর নিয়মিত প্রস্তাবের এক পর্যায়ে ভূক্তভোগী ওই নারী তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। পরে গত বছরের অক্টোবর মাসের ২৭ তারিখ ওই নারীর ঘরে এসে শারীরিক সম্পর্ক করার সময় স্থানীয়দের কাছে হাতে নাতে ধরা পড়েন আহমদ উল্লাহ। স্থানীয়রা তাকে মারধর করে পুলিশে দিতে চাইলেও প্রভাবশালী একটি মহল ঘটনা মিমাংসার আশ্বাস দিয়ে আহমদ উল্লাহকে নিয়ে যায়। কিন্তু প্রভাবশালী ওই মহল মিমাংসা না করায় ভূক্তভোগী নারী থানায় মামলা করতে বাধ্য হয়। মামলা হওয়ার পরে ঘটনার সাক্ষীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করে আহমদ উল্লাহ। এক পর্যায়ে ভয়-ভীতি ও অর্থনৈতিক সুবিধা দিয়ে মামলার সাক্ষী বাদল আসামী ও বিল্লাল আসামীকে প্রভাবিত করেন আহমদ উল্লাহ। এছাড়াও ঘটনার প্রতক্ষদর্শিরাও আহমদ উল্লাহর ভয়ে মুখ খুলছেন না। এতে বিপাকে পড়েছেন ভূক্তভোগী ওই নারী।

মামলার সাক্ষী শারমিন আক্তার বলেন, আহমদ উল্লাহ ও ভূক্তভোগী ওই নারীকে তার ঘরে অনৈতিক সম্পর্কের অবস্থায় এলাকার জনগণ আটক করে। কিন্তু প্রভাবশালী একটি মহল আহমদ উল্লাহকে নিয়ে যায়। পরে এঘটনায় মামলা হলে আহমদ উল্লাহ বিল্লাল ও বাদলকে প্রভাবিত করছেন। এছাড়াও যারা এঘটনার প্রতক্ষদর্শী, তাদেরকে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়েছেন আহমদ। আমাকেও তিনি ভয় দেখিয়েছেন। ঐ নারী আহমদ উল্লাহর কাছে এখন অসহায়। আহমদ উল্লাহর এমন কান্ডে এখন সাক্ষীরা সাক্ষী না দেওয়ায় ভূক্তভোগী বিপদে রয়েছেন। আহমদ উল্লাহর এমন কান্ডের বিচার চাই।

ভূক্তভোগী ওই নারী বলেন, আহমদ উল্লাহ জোর করে আমার সাথে প্রেমের অভিনয় করে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। আমার মান সম্মান নিয়ে এখন মামলার সাক্ষীদের প্রভাবিত করেছে, যেন আমি ন্যায় বিচার না পাই। আমি সকলের সহযোগিতায় ন্যায় বিচার চাই।

এবিষয়ে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করার পর মামলার সাক্ষী বিল্লাল আসামীকে পাওয়া গেলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হোননি।

অন্যদিকে থানায় মামলা থাকায় পালাতক রয়েছেন আহমদ উল্লাহ। যার কারণে তারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি নিয়ে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা(ওসি) ওবায়দুল হক বলেন, মামলাটির একজন আসামীকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছিল। সম্ভবত তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছেন। ভুক্তভোগীকে যদি কেউ হয়রানি বা থ্রেট করে থাকে, তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Post a Comment

Thnaks For Comment

Previous Post Next Post