বিজ্ঞাপণের জন্য যোগাযোগ করুন- 01966555312

ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে থানায় মামলা করলেন বৃদ্ধা মা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
কিছু থেকে কিছু হলেই নিজের গর্ভধারিণী মা'কে মারধর করেন ছেলে মনির ওরফে মনু খান। অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে অবশেষে ছেলের বিরুদ্ধে  থানায় মামলা দায়ের করেছেন আশি বছর বয়সী বৃদ্ধা মা রহিমা বেগম। ঘটনাটি ঘটেছে শরীয়তপুর সদর উপজেলার বেড়া চিকন্দী গ্রামে। 

বুধবার পালং মডেল থানায় রহিমা বেগম ছেলে মনির খান সহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। 

মামলা ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার বেড়া চিকন্দী গ্রামের আশি বছর বয়সী রহিমা বেগমের স্বামী মো. লাল মিয়া খান প্রায় ১০ বছর  আগে মারা যান। স্বামী মারা যাওয়ার পর রহিমা বেগমের তিন ছেলে দেলোয়ার খান(৫০), আনোয়ার খান(৪৫) ও মনির ওরফে মনু খান(৩৯) আলাদা হয়ে সংসার করেন। মেজ ছেলে আনোয়ারের সাথে থাকেন মা রহিমা বেগম। ভাইদের সাথে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে মনিরের। জমি জমা সহ পারিবারিক নানা বিষয়ে বিরোধের জেরে মা রহিমা বেগমকে প্রায়ই মারধর করেন ছোট ছেলে মনির ওরফে মনু খান। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গত ২০ জানুয়ারি সকাল ৮ টার দিকে মেজ ভাই আনোয়ার খানের উপর হামলা করে মনির খান, মনির খানের স্ত্রী শিল্পী বেগম ও ছেলে বাপ্পি খান। এসময় বৃদ্ধা মা রহিমা বেগম বাঁধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করে ছেলে মনির। এতে আনোয়ার খান ও রহিমা বেগম গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার মা রহিমা বেগম বাদী হয়ে ছোট ছেলে মনির খান, মনির খানের স্ত্রী শিল্পী বেগম ও মনির খানের ছেলে বাপ্পি খানকে আসামী করে পালং মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। 

এ বিষয়ে বৃদ্ধা রহিমা বেগম বলেন, কিছু হলেই  ছেলে মনির ও বউ আমাকে প্রায়ই মারধর করে। এর আগেও আমি মনিরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। এখন আবার মামলা করেছি। আমি ওর বিচার চাই। 

গুরুতর আহত আনোয়ার খান বলেন, জমিজমা সহ বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধের জেরে ছোট ভাই মনির খান প্রায়ই আমার মাকে মারধর করে। গত ২০ জানুয়ারি সকালে সে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে গুরুতর আহত করে। আমার বৃদ্ধা মা বাঁধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করে। আমি এর বিচার চাই। 

বড় ভাই দেলোয়ার খান বলেন, এই ঝামেলার কারনে আমি বাড়ি থাকিনা। ছোট ভাই মনির কশাইয়ের কাজ করে। তার ব্যবহারও কশাইয়ের মতো। সে প্রায়ই আমার বৃদ্ধা মাকে মারধর করে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। 

পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Post a Comment

Thnaks For Comment

Previous Post Next Post