বিজ্ঞাপণের জন্য যোগাযোগ করুন- 01966555312

ছাত্র আন্দোলনে নিহত জালালের মরদেহ তোলা হলো দাফনের ৬ মাস পর

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত জালাল উদ্দিনের মরদেহ দাফনের ৬ মাস পর কবর থেকে তোলা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। আদালতের নির্দেশে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার আনন্দ বাজার গণকবরস্থান থেকে মরদেহটি তোলা হয়।

নিহত জালাল উদ্দিন উপজেলার সখিপুর ইউনিয়নের আনু সরকার কান্দি এলাকার মৃত মোহন রাড়ীর ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত জালাল উদ্দিন ঢাকা মানিকনগরের ব্যবসায়ী ছিলেন। গত বছরের ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকা মানিকনগরের বাসা থেকে সন্ধ্যায় মাগরিবের নামাজ পড়তে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন তিনি। এরপর মরদেহ নিজ গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুরে দাফন করা হয়।

এ বিষয়ে গত ২০ নভেম্বর নিহত জালালের স্ত্রী মলি বাদী হয়ে ১২৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২৫০ জনকে আসামি করে মুগদা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে আদালতের নির্দেশে মরদেহটি তোলা হয়। মরদেহ তোলার সময় শরীয়তপুর এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ হায়দার, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই কাইয়ুম, সখিপুর থানা পুলিশ ও নিহত জালালের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও মুগদা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক কাইয়ুম বলেন, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পুলিশ ও চিকিৎসক পাওয়া যায়নি। এ কারণে জালালের মরদেহের সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত করা যায়নি। ওই অবস্থাতেই তাঁকে দাফন করা হয়েছিল। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মরদেহটি কবর থেকে তুলতে আদালতে আবেদন করা হয়। আদালতের নির্দেশ পেয়ে জালালের মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়।

এ বিষয়ে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) ওবায়দুল হক বলেন, আদালতের নির্দেশে মরদেহটি ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে উত্তোলন করা হয়। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

Post a Comment

Thnaks For Comment

Previous Post Next Post