নিজস্ব প্রতিবেদক:
শরীয়তপুরের নাড়িয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যানসহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ছাগল চুরির অভিযোগে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার(১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে নড়িয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের রাজাপুর জমাদার কান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ফাহিম জমাদার নামে এক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে নড়িয়া থানায় পাঁচ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০/১২ জনকে আসামি করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের মৃত গিয়াস উদ্দিন মুন্সির ছেলে নওপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য জাকির মুন্সী(৫৫), তার ভাই ফজলুল হাসান বাদল মুন্সি(৬০) ছেলে রাকেশ মুন্সি(২০), একই এলাকার শাকিল মুন্সির ছেলে ছাব্বির মুন্সি(২৫) ও দাদন সরদারের ছেলে সারোয়ার সরদার(২৬)।
স্থানীয় ও থানায় লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জমাদার কান্দি এলাকার সোহরাব জমাদারের সাথে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাকির মুন্সির বিরোধ রয়েছে। সেই বিরোধের জের ধরে গত মঙ্গলবার বিকালে জাকির মুন্সির ভাতিজা রাকেশ মুন্সি, সাব্বির মুন্সিসহ বেশ কয়েকজন যুবক সোহরাব জমাদারের ছেলে ফাহিম জমাদারকে ডেকে নিয়ে একটি ক্লাবে ৪ ঘন্টা আটকে রেখে লোহার রড দিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালায়। পরে পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত বুধবার নড়িয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ফাহিম। সেই অভিযোগকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে তাদের বাড়ী থেকে দুটি ছাগল চুরি করে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরে ছাগল চুরির ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান জাকির মুন্সিসহ পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামি করে নড়িয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ফাহিম জমাদার।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী ফাহিম জমাদার বলেন, গত বুধবার আমাকে চেয়ারম্যান জাকির মুন্সি তার লোকজন দিয়ে মেরেছে। তার ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করেছিলাম বিধায় শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে আমাদের ২টি ছাগল চুরি করে নিয়ে যায় এবং মামলা দায়ের করার কারণে আমাদের ঘরবাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি ধামকি দেয়। আমি নড়িয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি এই ঘটনায় প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই।
ঘটনায় বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান জাকির মুন্সির মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ছাগল চুরির বিষয়টি সঠিক নয়। আমাকে সমাজের চোখে ছোট করার জন্য একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে। তবে মারধর ও হুমকির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ঢাকায় ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন মোল্লা বলেন, "লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"