বিজ্ঞাপণের জন্য যোগাযোগ করুন- 01966555312

গান বাজনা হারাম প্রমাণ না করলে আলেমদের পেটানো হবে, ইউপি সদস্যের হুমকি

শরীয়তপুর টাইমস্ ডেস্ক ঃ

ইসলাম ধর্মে গান-বাজনা হারাম কি না এটি কোরআনের আয়াত দিয়ে প্রমাণ করতে না পারলে আলেমদের শারীরিকভাবে শাস্তি দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মেম্বার। তার এই বক্তব্য মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। অনেকে এ ঘটনাকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত বলে দাবি করেছেন এবং তার শাস্তির দাবি তুলেছেন।

জানা যায়, শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পালেরচর  ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আমির হোসেন সিকদার সম্প্রতি একটি বাউল গানের স্টেজে বক্তব্য রাখার সময় বলেন, "যদি কেউ কোরআন থেকে স্পষ্টভাবে দেখাতে পারে যে গান-বাজনা হারাম, তাহলে আমি মেনে নেব। আর যদি না পারেন, তাহলে এসব আলেমদের উচিত ভালোভাবে পেটানো। এতে আমি যদি মার্ডার মানলার আসামী হই, যদি জেল খাটা লাগে আমি জেল খাটবো। আওয়ামীলীগ কিন্তু ধ্বংস হয়ে যায় নাই। হয়তো প্রেক্ষাপটে পতন হইছে কিন্তু আওয়ামীলীগ মরে নাই।

এসময় তিনি বাউল গানে উপস্থিত জনতাকে বলেন আমরা খুব শীগ্রই একটি কমিটি করমু । কমিটি করার পরে পালেরচর ইউনিয়নে একটা বড় খেলা হবে। যতদিন বেচেঁ থাকি। 

তিনি আরও বলেন, আমরা ইসলাম নবীর মাধ্যমে পাই নি আমরা ইসলাম পেয়েছি ওলি আউলিয়াদের মাধ্যমে। যারা গান বাজনা বন্ধ করতে আসবে তাদের ঠ্যাং (পা) ভাঙ্গতে যা লাগে আমি তাই করমু। এতে যতদিন জেল খাটতে হয় খাটমু। 

এই বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পরপরই চারদিকে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিশেষ করে ধর্মীয় মহলে এ নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা যায়।

একজন স্থানীয় আলেম বলেন, "এ ধরনের কথা বলে তিনি শুধু আলেমদেরই নয়, বরং পুরো ইসলাম ধর্মকেই অবমাননা করেছেন। ধর্মীয় বিষয়ে না জেনে মন্তব্য করা এবং আলেমদের হুমকি দেওয়া একজন জনপ্রতিনিধির জন্য খুবই দুঃখজনক। আমরা প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই।"

বদরুল আলম নামের একজন ফেসবুকে লিখেছেন, "এই উগ্র অসভ্য জঙ্গী সন্ত্রাসকে অতিদ্রুত সময়ে গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। তাকে উন্মুক্ত ছেড়ে দেয়া হলে, সে ত্রাস সৃস্টি করবে।"

এম এইচ আফজাল নামের আরেকজন লিখেছেন "আমরা তো সেই স্বৈরাচারের আমল থেকে মৃত্যুর জন্য তৈরি, ওর জানা নেই ওরাই মৃত্যু কে ভয় পায় ওদের নেত্রী ওদের ফেলে চলে গেছে এর পর ও লজ্জাবোধ হয় না"

এ বিষয়ে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্মকর্তা কাবেরী রায় বলেন,"বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি।যদি কেউ অভিযোগ করতে চায় তাহলে আদালতের শরণাপন্ন হতে পারে।"


Post a Comment

Thnaks For Comment

Previous Post Next Post