বিজ্ঞাপণের জন্য যোগাযোগ করুন- 01966555312

আজহারকে মুক্তি দেন, না হলে আমাকে গ্রেপ্তার করুন : জামায়াতের আমির

 

শরীয়তপুর টাইমস্ ডেস্ক ঃ

এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দেওয়া না হলে নিজেকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর কথা বলেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। 

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে এক পথসভায় এ কথা বলেন তিনি। 

এ সময় জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন,  আজহারুল ইসলাম মুক্তির সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ পুরোপুরি মুক্তি পাবে না। তবে একজন মজলুম মুক্তি পাবে। বাংলাদেশকে মুক্ত করতে হলে এ দেশের যুবসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। টানা সাড়ে ১৫ বছর আমাদের উপর জুলুম চলেছে, আমরা আন্দোলন করেছি ফ্যাসিবাদী সরকারকে সরানোর জন্য। আমরা রাজনীতিবিদরা তা পারিনি। কিন্তু সে সব কষ্ট, দুঃখ, যাতনা, জুলুম একত্রিত হয়ে যে শক্তি তৈরি হয়েছিল আমাদের ছাত্রদের নেতৃত্বে সেই শক্তিতে বাংলাদেশ মুক্ত হয়েছে।  

এ সময় জামায়াতে ইসলামীর আমির যুবকদের উদ্দেশ্যে বলেন,  সমাজ গড়ার জন্য দায়িত্ব নিতে হলে তোমাদের এগিয়ে আসতে হবে। যে সমাজের যুবকেরা এগিয়ে আসে বিপ্লবের জন্য সেই সমাজে আল্লাহর পক্ষ থেকে বিপ্লব সফল হয়। আমি যুবকদের থেকে দুটি জিনিস চাই, একটি হচ্ছে গভীর দেশপ্রেম ও আরেকটি হচ্ছে আল্লাহর প্রতি ভয়। এ দুটি জিনিস নিয়ে যদি যুবকরা এগিয়ে আসে তারাই হবে সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে হিমালয় পর্বত। এ পর্বত যারাই খসে দিতে আসবে, তারা মাথা চুরমার হয়ে যাবে। ফেরাউনদের কাছ থেকে ফ্যাসিস্টরা শিক্ষা নেয় না। তাই যুগে যুগে তার দোসররা করুণ পরিণতি ভোগ করে।  


তিনি বলেন,  জনগণের ট্যাক্স-ভ্যাট ও বৈদেশিক ঋণের টাকায় দেশে উন্নয়নের কাজ হয়। এ উন্নয়নে দেশের গরিব, দুঃখী এবং মেহনতি মানুষের শ্রমের অর্থও রয়েছে। সুতরাং এ দেশের উন্নয়ন কোনো শাসকের টাকায় হয়নি। বরং তারা সাধারণ জনগণের অর্থ থেকে হাজার হাজার কোটি ডলার লুটপাট করে বিদেশের মাটিতে বেগম পাড়া তৈরি করেছে। স্বাধীনতার পর গত ৫৩ বছর যারা দেশ শাসন করেছেন, তাদের ইতিহাস এ দেশের মানুষ খুব ভালোভাবেই জানেন। সব দলের শাসনব্যবস্থা মানুষ দেখেছে। এখন তারা কোরআনের শাসন দেখার অপেক্ষায়। আগামীর দেশ হবে কোরআনের বাংলাদেশ।  পথসভা শেষ করে ২০১৩ সালের আন্দোলনে শহীদ বেলালের কবর জিয়ারত ও দোয়া অনুষ্ঠান অংশ নেন তিনি। 

জেলার নায়েবে আমির কেএম মকবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে পথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ, জেলা আমির অধ্যক্ষ মুহা. আব্দুর রব হাশেমী, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ মুহাম্মদ আজহারুল ইসলাম, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য আতিকুর রহমান কবির, বিএম মোজাম্মেল প্রমুখ।

Post a Comment

Thnaks For Comment

Previous Post Next Post