শরীয়তপুর টাইমস্ ডেস্ক ঃ
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর এলাকায় পদ্মা নদীতে বিভিন্ন নৌযান থেকে চাঁদাবাজি করার সময় চাঁদাবাজ চক্রের ৫ সদস্যকে আটক করেছে মাঝিরঘাট নৌপুলিশ।
মঙ্গলবার(১১ মার্চ) সকালে উপজেলার কুন্ডেরচর সংলগ্ন লালবয়া-নীলবয়া এলাকার পদ্মা নদীতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, ছিডারচর এলাকার বাসিন্দা খোকন মল্লিকের ছেলে সৈকত মল্লিক(২৪), তৈয়ব আলী মোল্লার ছেলে মো: সাহাবুদ্দিন(২৯), সফিউদ্দিন বেপারীর ছেলে মো: সবুজ(২৩), বড়কান্দি এলাকার বাসিন্দা সরবত ছৈয়ালের ছেলে বিল্লাল হোসেন ছৈয়াল(২০) ও নড়িয়ার ইশ্বরকাঠি এলাকার বাসিন্দা সফিউদ্দিন বেপারীর ছেলে সাইফুল ইসলাম(১৮)।
নৌপুলিশ সূত্র জানায়, জাজিরা উপজেলায় পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে মালবাহি বাল্কহেড থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করে আসছে চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সকাল থেকে পদ্মা নদী দিয়ে চলাচলরত ট্রলার ও বাল্কহেড থেকে প্রকাশ্যে চাঁদা আদায় করছিল চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা। এসময় খবর পেয়ে মাঝিরঘাট নৌপুলিশের উপপরিদর্শক(এসআই) সাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে নৌপুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে কুন্ডেরচর এলাকা সংলগ্ন পদ্মা নদীতে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির সময় ৫ জনকে আটক করেছে। চক্রটি ট্রলারে চড়ে পদ্মা নদীতে নানা পরিচয় দিয়ে নৌযান থেকে চাঁদা তুলে আসছিল।
নৌপুলিশ সূত্র আরও জানায়, আটক চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যরা কাদের নেতৃত্বে চাঁদাবাজি করছে তাদের কিছু তথ্য প্রদান করেছে। এরমধ্যে সোহাগ ও সোহেল মাদবর নামে দুজনের নাম জানানো হয়েছে।
কথা হয় চাঁদাবাজ চক্রের সদস্যদের সাথে, তারা বলেন, এসব কাজ কখনো করিনি, সামনে ঈদ, কোন কাজকর্ম নেই তাই অন্যের প্ররোচনায় পরে এ কাজ করেছি।
মাঝিরঘাট নৌপুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ এসআই আবুল হাসেম রাজকুমার বলেন, "চাঁদাবাজ চক্র নদীতে বিভিন্ন নৌযান থেকে চাঁদা উঠাচ্ছে শুনে নদীতে আমাদের টহলরত টিম স্পিডবোট নিয়ে অভিযান চালিয়ে বেশকিছু দেশীয় অস্ত্র ও দুটি প্লেনসিট ট্রলারসহ পাঁচ চাঁদাবাজকে আটক করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।"