সোমবার, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, সকাল ৭:৫৩
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. কৃষি
  7. খেলাধুলা
  8. গণমাধ্যম
  9. গোসাইরহাট
  10. চাকরি
  11. জাজিরা
  12. জাতীয়
  13. ট্যুরিজম
  14. ডামুড্যা
  15. দেশজুড়ে

এবার নিজ দলের কর্মীর করা চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার শরীয়তপুর-১ আসনের সাবেক এমপি

শরীয়তপুর টাইমস্ ডেস্ক
ডিসেম্বর ৩, ২০২৫ ৯:১৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজ দল কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের এক কর্মীর করা চাঁদাবাজির মামলায় শরীয়তপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

বাদী ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের পৃথক আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কামাল উদ্দিন বুধবার এ আদেশ দেন।

বুধবার(০৩ ডিসেম্বর) সকালে মোজাম্মেল হককে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এনে হাজতখানায় রাখা হয়। এরপর বেলা ১১টা ২০ মিনিটের দিকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরিয়ে তাকে লিফটে চড়িয়ে আদালত ভবনের নবম তলায় ওঠানো হয়। এ সময় তার দুই হাত পেছনে নিয়ে হাতকড়া পরানো ছিল।

আদালতকক্ষে কাঠগড়ায় ওঠানোর আগে মোজাম্মেল হকের হেলমেট খুলে রাখা হয়। ঘড়িতে তখন ১১টা ৩৫ মিনিট। বাদীপক্ষের করা গ্রেপ্তার আবেদনের শুনানি শুরু হয়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোরশেদ হোসেনসহ অন্যরা জামিনের আবেদন করেন। তখন কাঠগড়ার সামনের অংশে সরে আসেন মোজাম্মেল হক। মনোযোগ দিয়ে শুনানি শোনেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বলেন, মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেটা মিথ্যা। হয়রানি করার জন্য তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ২০১৪ সালের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে ২০২৪ সালে এসে। এ মামলার বাদী আর আসামি একই দলের, একই এলাকার। কমিটিতে পদ না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ আনা হয়েছে।

মোজাম্মেল হকের আইনজীবীরা আরও বলেন, মোজাম্মেল হক ৩০ বছর ধরে আওয়ামী লীগের নেতা। ঢাকা শহরে তার কোনো ফ্ল্যাট-প্লট কিছুই নেই। কোনো আমলেই তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ নেই। তার বয়স ৬৮ বছর। তিনি অসুস্থ। তিনি জামিন পাওয়ার যোগ্য।

আদালত উভয়পক্ষের শুনানি নিয়ে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এ মামলার বাদী বাংলাদেশ অক্সাইড–বেজ ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক মো. খলিলুর রহমান। গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর সাবেক এই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলাটি হয়। বুধবার আদালতে শুনানি চলার সময় খলিলুরকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে উল্লেখ করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ নেতা বিএম মোজাম্মেল হক ভুক্তভোগী খলিলুর রহমানকে রাজধানীর ধানমন্ডির অফিসে ডেকে নেন। নির্বাচনের খরচ হিসেবে তার কাছে ২৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়। টাকা পরিশোধের জন্য তাকে তিন দিনের সময় দেওয়া হয়। পরিশোধ করা না হলে খলিলুরকে গুম করার হুমকিও দেওয়া হয়।

পরে নির্বাচনের সময় নিজ এলাকা শরীয়তপুরে খলিলুরের বিরুদ্ধে ব্যবসায়িক সমিতির কাছে নানা অভিযোগ ও হুমকি দেওয়া হয়। এসব করে তার ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য করা হয় বলেও এজাহারে উল্লেখ করেছেন খলিলুর।

রাজধানীর নিকেতন থেকে বিএম মোজাম্মেল হককে গত ৫ অক্টোবর গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তখন থেকে তিনি কারাগারে আছেন। তখন ডিএমপি জানিয়েছিল, বিএম মোজাম্মেল হকের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংক্রান্ত একটি হত্যা মামলা ছাড়াও ঢাকা মহানগর এলাকায় আরও আটটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।

এই অয়েবসাইটে প্রতিনিধিদের কর্তৃক তথ্যপ্রাপ্তি হয়ে নিজস্ব প্রতিবেদক কর্তৃক নিউজ প্রস্তুত করে প্রকাশ করা হয়। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
আজকের সর্বশেষ সবখবর
  • সর্বশেষ

  • আপনার এলাকার খবর খুঁজুন

    খুঁজুন
  • © 2025 All Rights Reserved | Powered by BD IT HOST
    স্বত্ব © ২০২৪-২০২৫ শরীয়তপুর টাইমস্