শরীয়তপুরে এখনো একটি মানসম্পন্ন হাসপাতাল নেই, নেই উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা কিংবা যুগোপযোগী সড়ক অবকাঠামো। অথচ বারবার যাঁরা এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন, তাঁরা এ জেলার জন্য কিছুই করেননি। উন্নয়নের নামে কেবল নিজেদের পকেট ভারী করেছেন। আর সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁদের চাওয়ার কিছু নেই! এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) বিকেলে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পালেরচর মাদ্রাসা মাঠে ইউনিয়ন শাখার আয়োজনে এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আপনারা যদি আমাকে সুযোগ দেন, ইনশাআল্লাহ আমি জাজিরা-পালংয়ের মানুষের পাশে থাকব। চিকিৎসা, শিক্ষা, রাস্তাঘাট আমূল পরিবর্তন আনাই হবে আমার অঙ্গীকার। আমি আপনাদের উন্নয়নে নিজেকে সোপর্দ করে দিলাম।
সাম্প্রতিক পালেরচর ঝিনু মার্কেট এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা ও আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনা নিয়েও বক্তব্য দেন মহাসচিব। তিনি বলেন, ঘটনার পর পুলিশের দায়ের করা মামলায় অনেক নিরীহ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। আমি মামলার কপিটি দেখেছি, যাঁরা ঘটনার সময় পালেরচরে ছিলেনই না এমন ব্যক্তিদেরও নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অনেকেই ঢাকায় ব্যবসা করেন, অথচ তাঁদের নামও রয়েছে তালিকায়।
এ বিষয়ে জাজিরা থানার ওসির প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, অপরাধীর শাস্তি অবশ্যই হবে, তবে নির্দোষ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়। আমি স্পষ্ট ভাষায় বলছি; যাঁরা জড়িত নন, তাঁদের নাম মামলা থেকে প্রত্যাহার করুন।
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন পালেরচর ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মাওলানা লিয়াকত হোসাইন। সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহা. মাসুদুর রহমান। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দলটির শরীয়তপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা শাব্বির আহমদ উসমানী, সাধারণ সম্পাদক হাফেজ শেখ দবির হীসেন, জাজিরা উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা নুরুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শহিদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি মাওলানা আরিফুল ইসলাম আর রব্বানী, সেনেরচর ইউনিয়নের সভাপতি মেম্বার আব্দুস সালাম হাওলাদার, পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের সভাপতি মাওলানা মাহমুদুল হাসান জান্নাত, মাওলানা আনিসুর রহমানসহ দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।