শরীয়তপুরের জাজিরায় বিএনপির নিবেদিত দুই নেতা—উপজেলা যুবদলের সভাপতি আলমগীর হোসেন ও তৎকালীন উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক এবং পৌরসভা বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম রনি মুন্সি। আজ, ৪ সেপ্টেম্বর, তাদের রাজনৈতিক জীবনের এক বিষন্নময় স্মৃতির দিন।
জানা যায়, ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে কোনো ধরনের মামলা বা গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই পুলিশ তাদের আকস্মিকভাবে গ্রেফতার করে। পরদিন আদালতে জামিন আবেদন নাকচ করে উভয় নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, সে সময় রনি মুন্সি ও আলমগীর হোসেন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছিলেন। শুধুমাত্র একটি নৌ-ভ্রমণের আয়োজনকে অজুহাত বানিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়। গ্রেফতারের পর তারা কারাগারে শারীরিক ও মানসিকভাবে চরম নির্যাতনের শিকার হন বলে অভিযোগ রয়েছে।
নেতাকর্মীরা বলেন, “ওই সময়ের ঘটনাটি আমাদের জন্য ছিল এক দুঃসহ অভিজ্ঞতা। নিবেদিতপ্রাণ দু’জন নেতাকে অন্যায়ভাবে বন্দি করা হয়েছিল কেবল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করার জন্য।”
এ বিষয়ে সাবেক উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও পৌরসভা বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম রনি মুন্সি বলেন, “আমার রাজনৈতিক জীবনকে ধ্বংস করার জন্য মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল। কারাগারে আমাকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে, অথচ আমার একমাত্র অপরাধ ছিল বিএনপির পতাকাতলে কাজ করা। আজও সেই দিনের দুঃসহ স্মৃতি আমাকে তাড়া করে বেড়ায়। তবে আমি বিশ্বাস করি, জনগণের ভালোবাসাই একদিন সত্যকে জয়ী করবে।”
বিষষটি নিয়ে উপজেলা যুবদলের সভাপতি আলমগীর হোসেন বলেন, “আজকের দিনটি আমার জীবনের এক বেদনাদায়ক অধ্যায়। আমি কোনো অপরাধ করিনি, কেবল দেশপ্রেম আর গণতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়ানোর কারণেই আমাকে গ্রেফতার করে অন্যায়ভাবে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি মানসিকভাবেও ভয়াবহ চাপ সহ্য করতে হয়েছিল। তবে আজও আমি সেই আদর্শে অটল আছি। এই মামলায় এখোনো হাজিরা দিতে হয় আমাদের। এটা খুবেই দুঃখজনক”।
আজ তাদের কারাবরণের এই দিনে জাজিরা ও শরীয়তপুর বিএনপির নেতাকর্মীরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে তাদের সকল ভুয়া মামলার নিস্পত্তি এবং পূর্ণ মুক্তি দাবি করেছেন।