শরীয়তপুরের জাজিরায় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর সরকারি গাছ কেটে নেয়ার অনুমতি চেয়ে আবেদন করে অনুমতি না পেয়েই গাছ কেটে নেয়ার চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার(৮ আগস্ট) সকাল থেকে সাংবাদিক পরিচয় দেয়া মাহমুদুল রহমান জুয়েল নামে এক ব্যক্তি ও জাজিরা উপজেলা বনবিভাগের মালী রুহুল আমিনের নেতৃত্বে গাছগুলো কাটা শুরু করা হয়। পরে স্থানীয়দের কাছে অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে তা বন্ধ করা হয়। তবে এর আগেই গাছের ডালপালা ছেঁটে ফেলা হয়।
জানা যায়, গত ২০ জুলাই মাহমুদুল রহমান জুয়েল নামে এক ব্যক্তি জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর জাজিরা কেন্দ্রীয় কবরস্থান সংলগ্ন সড়কের পাশে তিনটি সরকারি গাছ কর্তন করার আবেদন করেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন, তার বসতঘরের চালের উপর ঝড়ের কারনে গাছে ডালপালা ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা আছে। তাই তিনি পরিবার নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আবেদনে উল্লেখিত বসতবাড়ী গাছের কারনে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই এবং আবেদনকারী মাহমুদুল রহমান জুয়েলের ঐ এলাকা কিংবা তার আশেপাশে কোন বসতবাড়ি নেই। আবেদনে উল্লেখিত বসতবাড়িটি মাহবুবুর রহমান স্বপন নামে এক ব্যক্তির।
বসতবাড়ির মালিক স্বপনের কাছে গাছ কর্তনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জুয়েল সাংবাদিক আর বনবিভাগের লোকেরা জানে।
গাছ কাটার নেতৃত্বে থাকা জুয়েল ও রুহুল আমিনের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, ইউএনও ও বনবিভাগ ওই গাছগুলো কাটার অনুমতি দিয়েছে।
স্থানীয় ও শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গাছগুলোর প্রতিটির বাজার মূল্য অন্তত দের লাখ টাকা করে ৩টি গাছের মূল্য সারে ৪ লাখ টাকা হবে।
তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা বনবিভাগ কর্মকর্তা এবিষয়ে অবগত নয় বলে জানান।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) কাবেরী রায় বলেন, আমার দপ্তর থেকে গাছ কাটার কোন অনুমতি দেয়া হয়নি। একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। বিষয়টি আমি দেখছি।
এবিষয়ে জেলা বনবিভাগের কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘জাজিরায় আমি কোন গাছ কাটার অনুমতি বা নির্দেশ দেইনি।’ গাছ কাটার সময় জাজিরা বনবিভাগের মালীর উপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যদি এমনটি হয়ে থাকে তবে আমি এর যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’