জাতীয় সংসদ নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনঃনির্ধারণ নিয়ে দাখিল হওয়া আপত্তির প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন শরীয়তপুর-২ ও ৩ আসনের সীমানা পুনঃবিন্যাসের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। ফলে আসন দুটি পূর্বের মতোই বহাল থাকবে।
এ বিষয়ে আপত্তি দাখিলকারী শরীয়তপুরের সন্তান ও ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী মুহাঃ মুস্তাফিজুর রহমান জানান, নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক বিজ্ঞপ্তিতে শরীয়তপুর-২ আসনে ভেদরগঞ্জ পুরো উপজেলা অন্তর্ভুক্ত করে পুনঃবিন্যাস করা হয়েছিল। এতে আসন দুটির মধ্যে ভোটার সংখ্যার চরম বৈষম্য সৃষ্টি হয়।
তিনি শুনানিতে কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, শরীয়তপুরে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ১২ লাখ ২০০ জন। নতুন প্রস্তাবিত সীমানা অনুযায়ী ২ নম্বর আসনে ভোটার দাঁড়ায় ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৬৫ জন (৪০.২৫%) এবং ৩ নম্বর আসনে ২ লাখ ৯০ হাজার ২৫২ জন (২৪.১৮%)। দুই আসনের মধ্যে ভোটার পার্থক্য দাঁড়ায় ১ লাখ ৯২ হাজার ৮১৩ জন, যা শতাংশ হিসাবে ৩৯.৯১ ভাগ। অথচ কমিশনের নীতিমালায় জেলার আসনসমূহের ভোটার সংখ্যা সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ ব্যবধানের মধ্যে রাখার কথা বলা হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, পুনঃবিন্যাসটি ছিল সম্পূর্ণ বৈষম্যমূলক। তবে শুনানিতে তার বক্তব্য শুনে কমিশনাররা বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দেন।
অবশেষে নির্বাচন কমিশন গত (৪ সেপ্টেম্বর) চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে জানায়, শরীয়তপুর-২ ও ৩ আসনের সীমানা পূর্বের মতোই বহাল থাকবে।
এতে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে স্বস্তি নেমে এসেছে।