শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) মো. মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে ভিডিও বার্তায় দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় আজ বুধবার(২২ অক্টোবর) জাজিরা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. পলাশ খান ও সহসভাপতি মুহাম্মদ বরকত উল্লাহ পৃথক দুটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার (ঢাকা) ও জেলা প্রশাসকের (শরীয়তপুর) কাছে।
পলাশ খান দৈনিক সংবাদের শরীয়তপুর প্রতিনিধি ও মুহাম্মদ বরকত উল্লাহ দৈনিক মানবকণ্ঠের জাজিরা উপজেলা প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করছেন।
অভিযোগপত্রে জানা যায়, সম্প্রতি এক শিক্ষকের ঘুষ সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় কয়েকটি গণমাধ্যমে সহকারী কমিশনার(ভূমি) মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনের পর মেহেদী হাসান একটি ভিডিও বার্তায় দাবি করেন, স্থানীয় কিছু জাজিরার সাংবাদিক তার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় আর্থিক ও অনৈতিক সুবিধা দাবি করেছিলেন। কিন্তু তিনি এতে সাড়া না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওই দুই সাংবাদিক তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করেন।
ভিডিও বার্তায় এমন বক্তব্যে ক্ষুব্ধ দুই সাংবাদিক অভিযোগ করেন, ভূমি কর্মকর্তার এই বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এতে তাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক মানহানি হয়েছে।
বরকত উল্লাহ অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, “মেহেদী হাসানের উক্ত বক্তব্যের কোনো সত্যতা নেই। উল্টো আমার কাছে বিষয়টি প্রমাণের জন্য পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষিত রয়েছে।”
অন্যদিকে প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. পলাশ খান বলেন, “ভূমি কর্মকর্তার ভিডিও বার্তাটি বিভ্রান্তিকর এবং মানহানিকর। এর মাধ্যমে প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা পেশাগতভাবে সাংবাদিকদের হেয় করার চেষ্টা করেছেন।”
দুই সাংবাদিকই বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকের কাছে এ বিষয়ে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জাজিরা উপজেলা সহকারী কমিশনার মো: মেহেদী হাসান বক্তব্যের জন্য তার দপ্তরে গিয়ে বেলা ৩ টা থেকে প্রায় ২ ঘন্টা অপেক্ষা করলেও তিনি আসেননি। পরে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলে তিনি তার রিসিভ করেননি। সবশেষ তার মুঠোফোনের হোয়াটসএ্যাপ মেসেঞ্জারে ক্ষুদে বার্তা পাঠালে তিনি কোন উত্তর দেননি।
এ বিষয়ে শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক তাহসিনা বেগম বলেন, ‘‘অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’’
